সবাই বের হলেও বাঁচতে পারেননি রেস্টুরেন্টের ক্যাশিয়ার-ওয়েটার
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারের (২৯ ফেব্রুয়ারির) এ ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে মোহাম্মদ আলতাফ নামের এক রেস্টুরেন্ট কর্মী জানিয়েছেন, তার দুই সহকর্মী ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। যারা অন্যদের ভবন থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন; কিন্তু অন্যরা বের হয়ে যেতে সমর্থ হলেও তারা বাঁচতে পারেননি।
আলতাফ বলেছেন, “যখন সামনে আগুন লাগে এবং কাঁচ ভেঙে যায়, আমাদের ক্যাশিয়ার এবং ওয়েটার সবাইকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা দুজনই মারা যায়। আমি রান্নাঘরে যাই এবং একটি জানালা ভেঙে লাফ নিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই।”
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন জানিয়েছেন, এই আগুনের সূত্রপাত কোনো চুলা অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে। কারণ ভবনটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। যেটির সিঁড়িসহ সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, অগ্নি দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদের সবার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের অগ্নিকাণ্ড ও ২০১৩ সালে একটি ভবন ধসে পড়ার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে এসব প্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রায় কমে গেছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে নিয়ম না মেনে অনেক ভবন তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে কারণে প্রতি বছর আগুন লেগে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এমটিআই