জীবনবাজি রেখে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা
পুলিশ সদস্যরা জীবনবাজি রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সারা দেশে হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। পুলিশ সদস্যরা জীবনবাজি রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বরাবরের মতো সেই অপশক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা ট্রেন-বাসে আগুন দিয়ে নির্মমভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, এজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা চালু, রেশন প্রাপ্তির হার দ্বিগুণ এবং প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করি। ১৯৯৮ সালে আমরাই প্রথম পুলিশ সুপার পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিই। পাঁচ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করি। ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমরা ৮০৩ জন এসআই, ৫০৭ জন সার্জেন্ট এবং ১৪ হাজার ৬৮০ জন কনস্টেবল নিয়োগ দিই। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্যোগ নিই। ২৫টি থানা, ৮৬টি তদন্ত কেন্দ্র, ৫৮টি হাইওয়ে ফাঁড়ি, ১৫০টি পুলিশ ক্যাম্প ও ১০টি ফাঁড়ি স্থাপন করি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পদক্ষেপ নিই। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করি। পুলিশ, র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করি। গত ১৫ বছরে আমরা পুলিশের উন্নয়নে বহুমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০তলা ভবন করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতালের উন্নয়নে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ঢাকা বিভাগে একটি বিভাগীয় হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অন্য বিভাগীয় শহরেও পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যানবাহন সরবরাহ করেছি। পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাভিয়েশন ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমে শিগগিরই দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত হতে চলেছে। বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা ও মোবাইল অ্যাপ প্রবর্তন, অনলাইন জিডি, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ই-সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
এমএসি/এসএসএইচ