পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের বন্ধু হিসেবে পুলিশকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে তাদের কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। তারপরও পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মরদেহ দাফন-কাফনের ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি।
‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ'-প্রতিপাদ্যে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন।
এছাড়া জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পুলিশকে সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন এটাই পুলিশের ধর্ম। আপনারা সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের কাম্য। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।
অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টলও পরিদর্শন করেন তিনি।
এনআই/জেডএস