র্যাবে করোনা আক্রান্ত ২৬৭৮
গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আরও দুই সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে র্যাবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল মোট ২৬৭৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬০% বা ১ হাজার ৭৩ জন সেনাবাহিনীর সদস্য, যারা বর্তমানে র্যাবে সংযুক্ত আছেন।
পুলিশ সদর দফতরের অপারেশনস কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ বুধবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত র্যাবে আক্রান্তের মধ্যে ১০৭৩ জন সেনাসদস্য, ৫১ জন বিমান বাহিনীর, ৪৬ জন নৌ বাহিনী, ২৯৯ জন বিজিবি, ১৫৪ জন আনসার এবং ৩৯ জন বেসামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৫৮৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে কোভিডযুদ্ধে হেরে প্রাণ দিয়েছেন ৬ জন। বর্তমানে আক্রান্ত ৭৩৩ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়াও কোভিড- টেস্ট করানো ৬০ জন র্যাব সদস্যকে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত বাহিনীটির মোট ১৭ হাজার ৮৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনাযুদ্ধে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ও সংযুক্ত মোট ৮৬ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে ৮৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা বাকি ৩ জন সিভিল কর্মকর্তা। যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশে সংযুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৭ হাজার ১৩৬ জন পুলিশ সদস্য করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন। বাহিনীটির মোট ৩৬৮ সদস্য বর্তমানে করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২১৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে’।
এআর/এমএইচএস