মুশতাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ডিবিতে তিশার বাবা
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে গেছেন আইডিয়াল স্কুলের অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিন্টোর রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অভিযোগ জানাবেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।
এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে নিজের ও স্ত্রীর নিরাপত্তা চাইতে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে যান আলোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতি।
পরে হত্যার হুমকির কথা জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন আলোচিত-সমালোচিত মুশতাক-তিশা।
তখন খন্দকার মুশতাক বলেছিলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলায় গেলে কিছু যুবক তাকে ও তার স্ত্রী তিশাকে গালাগালি করেন। আবার বইমেলায় গেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেন। এ কারণে তিনি ডিবিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়টি ডিবি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় স্ত্রীকে নিয়ে নিজের লেখা বইয়ের প্রচারণায় যান মুশতাক। একপর্যায়ে পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের তোপের মুখে পড়েন এই দম্পতি। দুয়োধ্বনি দিয়ে তাদের বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
ওইদিন বইমেলায় মিজান পাবলিশার্সে যান মুশতাক-তিশা দম্পতি। সেখানে ছিল মুশতাকের লেখা বই ‘তিশার ভালোবাসা’ ও ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’। তাদের দেখে রীতিমতো ভিড় করছিলেন মেলায় আসা উৎসুক দর্শনার্থীদের অনেকে। মুশতাক-তিশা দম্পতি তখন ‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের কিনতে উৎসাহিত করছিলেন। এ সময় একদল ক্রেতা-দর্শনার্থী তাদের তাড়া করেন। তাদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ ও ‘ছি ছি ছি ছি’ দুয়োধ্বনি দেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ দম্পতিকে নিরাপদে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেন।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন আলোচিত এ দম্পতি।
জেইউ/কেএ