সপ্তম দিনে বইমেলায় এসেছে ৬৯টি নতুন বই
অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সপ্তম দিনে নতুন ৬৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বইমেলার আগামীকালের কর্মসূচি
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আহমদ শরীফ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।
বইমেলায় আজকের কার্যক্রম
আজ অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সপ্তম দিনে মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ‘স্মরণ: গোবিন্দ চন্দ্র দেব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।
প্রাবন্ধিক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব নানা অভিধায় অভিহিত ছিলেন। তিনি একদিকে ছিলেন অনন্য চিন্তক, দর্শনের অধ্যাপক, সর্বজনীন প্রেম ও প্রজ্ঞার এক বিরল ব্যক্তিত্ব, সর্বোপরি একজন উঁচু স্তরের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। তাঁর চিন্তার পরিসর ছিল সর্বব্যাপী, তা ছিল মানবতা ও বিশ্বপ্রেম-রসে জারিত। তার দর্শনচিন্তা তত্ত্বের কঠোর আবরণ থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবহারিক জীবনে উদ্ভাসিত, প্রেম-রসে নিমজ্জিত যাতে অবগাহন করা যায় স্বচ্ছন্দে, নির্দ্বিধায়। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করে বিশ্বপ্রেমে আবৃত করতে হবে, আর তাহলেই সেই জ্ঞান মানুষের হৃদয়তন্ত্রীতে বেজে উঠবে, তার মর্মে ও কর্মে প্রকাশ পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব একজন স্মরণীয় বাঙালি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও গভীর দার্শনিক দৃষ্টি দিয়ে জীবন ও জগতকে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর জীবন, কর্ম ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।
‘আজ লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইসহাক খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মিল্টন বিশ্বাস, শিশুসাহিত্যিক সারওয়ার-উল ইসলাম এবং কবি মেঘ অদিতি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি বিমল গুহ, শিহাব সরকার এবং টোকন ঠাকুর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, কাজী মাহতাব সুমন এবং অনন্যা লাবণী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী। এছাড়াও ছিল নূরুননবী শান্তের পরিচালনায় 'ভাবনগর ফাউন্ডেশন' পরিবেশিত চর্যাপদের গান এবং মো, সাকিবুল ইসলামের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি একাডেমী'র পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সুমন চৌধুরী, শাহনাজ নাসরীন ইলা, ডা. মকবুল হোসেন, অরূপ বিশ্বাস, করবী দাস, স্নিগ্ধা অধিকারী, নূরতাজ পারভীন এবং জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন এনামুল হক ওমর (তবলা), মো, নূর এ আলম (কী-বোর্ড), অসিত বিশ্বাস (এসরাজ) এবং নাজমুল আলম খান (মন্দিরা)।
কেএইচ/এসকেডি