ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে কনটেন্ট পাইরেসি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ
বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট পাইরেসি ও অবৈধ স্ট্রিমিং করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারিত এক্সক্লুসিভ ওয়েব কনটেন্ট পাইরেসির মাধ্যমে স্ট্রিমিং করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আদাবর এবং মতিঝিল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সাদমান সাকিব, মো. এজাজ আহমেদ, মো. রাবিব হোসেন ও রাহাত খান।
ডিএমপির সিটিটিসি-এর সাইবার ইউনিটের এসপি নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
সিটিটিসি সাইবার টিম জানায়, ওটিটি গিল্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারকচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বানানো প্লাটফর্মে “হইচই টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেড”, “নেটফ্লিক্স”, “আমাজন প্রাইম ভিডিও” এবং “ডিজনি হটস্টার”সহ যেগুলো বাংলাদেশে নিবন্ধিত বৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যেখানে সম্প্রচারিত এক্সক্লুসিভ ওয়েব কনটেন্টসমূহ পাইরেসির মাধ্যমে স্ট্রিমিং করে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি আসছিল। এছাড়া উল্লেখিত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর আর্থিক ক্ষতি করে আসছিল।
গ্রেপ্তার প্রতারকচক্র গত ৬ মাসে এ কাজে প্রায় কোটির অধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আসামিদের যথাযথ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহযোগী ও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তাতারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং আসামিদের অবৈধ ওটিটি “ওয়ান ফ্লিক্স” এর সার্ভার বিশেষ প্রক্রিয়ায় ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
এসপি নাজমুল ইসলাম বলেন, এটা একটি ডিজিটাল স্ক্যাম এবং অবৈধ স্ট্রিমিং ব্যবসা। যার কোনও নৈতিক ও আইনগত ভিত্তি নেই। ওয়ানফ্লিক্সসহ অন্যান্য সকল অবৈধ স্ট্রিমিং ডোমেইনের বিরুদ্ধে আমাদের সাইবার ইউনিটের আইনগত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআর/এমএসএ