রামু কলেজ ফান্ড লুটপাট, দুদকের অভিযান
কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রামু সরকারি কলেজ হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেতন-ফি আদায় করা হয়। দুদক টিম এ সংক্রান্ত ভাউচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য খাতের খরচের ভাউচার সংগ্রহ করে। এছাড়াও কলেজের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার নামে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। সর্বসাকুল্যে ৪০ হাজার টাকাও খরচ না হলেও খরচ দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। শুধু ওই অনুষ্ঠানই নয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রসিদে বিভিন্নভাবে টাকা আদায় ছাড়াও অসংখ্য ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে কলেজ ফান্ডের অন্তত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ (সহযোগী অধ্যাপক) মুজিবুল আলমের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান ২৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুজিবুল আলম। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর মজিবুল আলম তার পছন্দের কিছু শিক্ষকের নামে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি এমন প্রকল্প দেখিয়েছেন; যার প্রায় সবগুলোতে হিসাবের নানারকম অসংগতি রয়েছে।
আরএম/জেডএস