শিরীন শারমিনের সঙ্গে সৌদির শুরা কাউন্সিলের স্পিকারের সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-শেখের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাৎ করতে আসে। এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা দুই দেশের সংসদীয় সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, নারী ক্ষমতায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মৈত্রী গ্রুপ দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিলের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি বলেন, শূরা কাউন্সিলের কার্যকর ভূমিকার ফলে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। এ সময় স্পিকার সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের উন্নয়ন বিস্ময়। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে ১৫টি চুক্তি রয়েছে। সৌদি আরবের কমার্স মিনিস্টার এবং ইনভেস্ট মিনিস্টার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। এতে রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থাপিত মডেল মসজিদগুলো ইসলামিক সেন্টারের মতো ভূমিকা রাখছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য খাত এবং ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবকে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে স্পিকার ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-শেখ বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশংসা করেন। সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে থেকে শিক্ষা, ট্রেনিং এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে। তিনি বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সদস্যদের সৌদিতে সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আরবি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/কেএ