স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতে ১৪ রাষ্ট্রদূতের মুখে বাংলাদেশের প্রশংসা
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতরা। তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বহুপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, সংসদীয় সফর বিনিময়সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূতরা।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, গৃহহীন-ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এক-কক্ষবিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩০০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যতীত ৫০ জন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধান রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সাথে সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব।
জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ বৈষম্য, মানবাধিকারসহ নানা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনুসরণীয়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন দৃশ্যমান।
চেক প্রজাতন্ত্রের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ড. এলিসকা যিগোভা বলেন, বাংলাদেশ চেক প্রজাতন্ত্রের অনেক পুরোনো বন্ধু। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
গাম্বিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মুস্তফা জাওয়ারা বলেন, দুদেশের পারস্পরিক সফর বিনিময় উভয় দেশের প্রতিনিধিদের জ্ঞানের পরিধিকে সমৃদ্ধ করবে। অপর দেশের নীতি ও আইন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তা কাজে লাগাতে পারবে।
কম্বোডিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কয় কুয়ং বলেন, ১৯৭১ সালে নন-এলায়েন্স সামিটে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কম্বোডিয়ার জাতির পিতা দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভীত রচনা করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি সফল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লুক্সেমবার্গের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পেগি ফ্র্যান্টজেন বলেন, বাংলাদেশ লুক্সেমবার্গের অনেক পুরনো মিত্র। আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে দুদেশ একসাথে কাজ করার মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কাপায়া রদ্রিগুয়েজ গনজালেজ বলেন, ২০২২ সালে ভেনিজুয়েলা-বাংলাদেশ তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর উদ্যাপন করেছে। দুদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের পারস্পরিক সফর বিনিময় অভিজ্ঞতা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে।
বতসোয়ানার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গিলবার্ট শিম্যান মেগোল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত নয়নাভিরাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত হাঙ্গেরির অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ইস্টভান যাবো, জ্যামাইকার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জ্যাসন কে হল, উত্তর মেসিডোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত স্লোবোদান উজুনভ, পেরুর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জেভিয়ার ম্যানুয়েল পলিনিশ ভেলার্ড, স্লোভাকিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রর্বাট ম্যাক্সিয়ান, স্লোভেনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মাতেজা ভোদেব ঘোষ ও উরুগুয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত আলবার্তো এ ঘানি।
টানা চতুর্থবারের মতো ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় তারা সবাই নব-নির্বাচিত স্পিকারকে অভিনন্দন জানান। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/এমজে