বিকল্প ধারার মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১৩তম মামলা
জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোম্পানির নামে ৩ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর ও সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন– বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী ও বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান, মেয়ে তানজিলা মান্নান ও তাজরিনা মান্নান। তানজিলা ও তাজরিনা উভয়ই বিআইএফসি সাবেক পরিচালক।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন– রবিনসন ফ্যাব্রিকেশনের মালিক মো. আমিনুর রহমান খান, রুনা প্রপার্টিজের মালিক নাহিদা আক্তার, বিআইএফসি পরিচালক এ এন এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির এমডি ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী আহসান মারুফ, সাবেক এভিপি মো. আওলাদ হোসেন।
আরও পড়ুন
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইতোমধ্যে বিক্রি করা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকো লিমিটেডের নামে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে ওই টাকা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকো লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে মেজর (অব.) মান্নান ও উম্মে কুলসুমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান রুনা প্রপার্টিজ ও রবিনসন ফেব্রিকেশনের হিসাবে স্থানান্তর করেন। তারপর ওই টাকা সানম্যান গ্রুপের নামে নিয়ে স্তরবিন্যাস ঘটিয়ে পুনরায় বিএফআইসির হিসাবে জমা দেখিয়ে রূপান্তর ঘটানোর মাধ্যমে মোট ৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন। একইসঙ্গে ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আসামিরদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪৬৬/৪৬৭/৪৭১/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৩(২) ও ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে বিআইএফসি থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের অভিযোগে মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করে দুদক। যার মধ্যে দুটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ও ১১টি মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
আরএম/এসএসএইচ