শিক্ষা বৃত্তি ও বিভিন্ন বিল পেতে দিতে হয় ঘুষ
শিক্ষা বৃত্তি, বিভিন্ন বিল ও প্রশিক্ষণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ঘুষ দিতে হয়। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুদকের পটুয়াখালী অফিস থেকে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, পরিবহন খরচ বাবদ সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য বরাদ্দের তালিকার হার্ডকপি গ্রহণে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষা অফিসারকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। একই অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন
সূত্র আরও জানায়, অভিযানকালে টিম সরেজমিনে ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য গ্রহণ করে। তারা টিমকে জানান, পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস বরাদ্দের আবেদন, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, শিক্ষা বৃত্তি, বিভিন্ন বিল ফরওয়ার্ড, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও হিসাবরক্ষককে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া লাগত। পরবর্তীতে টিম জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি অবহিত করে এবং তিনি বিভাগীয় তদন্তের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তাদের জানান। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা দুদককে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
আরএম/এসকেডি