চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় আবারও উচ্ছেদ অভিযান
চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামানের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এতে করে নগরের কোতোয়ালি থানার এলাকায় পাহাড়ের ওপর অবস্থিত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন কার্যালয় ও বিভিন্ন আদালতের ভবনে যাতায়াত সহজ হবে।
জেলা প্রশাসন জানায়, চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে বিচারকসহ ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও আদালত ঘিরে ৪ থেকে ৫ হাজার আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এসব অফিস-আদালতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক যাতায়াত করেন। বিপুল সংখ্যক লোকজনের যাতায়াতে ছোট্ট একটি রাস্তায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সময় মুমূর্ষু রোগীকেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিপুল সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীকে বিশ্রামাগার, টয়লেট, সুপেয় পানি কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মত উন্মুক্ত কোনো স্থান এখানে নেই।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, অবৈধ এসব স্থাপনার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটলে গাড়ি যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাছাড়াও জেলা পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ব্যবহার করে শত শত আসামিদের প্রতিনিয়ত আদালতে আনা-নেওয়া করে থাকেন। সেক্ষেত্রে যানজটের কারণে দুর্ধর্ষ কয়েদিদের আদালতে হাজির করা হুমকিস্বরূপ। উচ্ছেদ অভিযানের ফলে এখন এই এলাকায় যাতায়াতের স্বস্তি মিলবে।
অভিযানে বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩০ জন, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছিল জেলা প্রশাসন। ওইদিন ১৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
এমআর/জেডএস