ধলেশ্বরী দূষিত কেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে শিল্প সচিবকে নির্দেশ
হাজারীবাগের ট্যানারি এস্টেট সাভারে সরিয়ে নেওয়ার পরও বুড়িগঙ্গার মতো ধলেশ্বরী নদী দূষণের বিষয়টি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। চামড়া শিল্পের বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় নিষ্কাশন পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিবেদন পাঠাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ জানুয়ারি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ও একই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন
কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় হাজারীবাগের ট্যানারি এস্টেট সাভারে সরিয়ে নেওয়ার পরও বুড়িগঙ্গার ন্যায় ধলেশ্বরী নদী দূষণের বিষয়টি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। চামড়া শিল্পের বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় নিষ্কাশন পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এর ফলে পরিবেশ দূষণ হওয়াসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে এবং তারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
কমিশন মনে করে, দূষণমুক্ত, নিরাপদ ও সুস্থ-সুন্দর পরিবেশের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে বর্জ্য নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধানগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। আদেশের অনুলিপি কার্যার্থে চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়।
জেইউ/এসএসএইচ