ভোটের দিন দেশজুড়ে ৬০ মামলা, জরিমানা সাড়ে তিন লাখ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনভর নানান অপরাধ আমলে নিয়ে ৬০টি মামলা দায়ের করেছেন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল (বিচারিক) ম্যাজিস্ট্রেটরা।
পরে এসব নির্বাচনী অপরাধগুলো আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের মাধ্যমে ৬০টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এতে অপরাধ বিবেচনায় মোট ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে দুই ও তিন বছরের (মোট ৫ বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল (রোববার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে।
দিনের বড় ঘটনা হলো চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল। পুলিশের এক ওসিকে ধমক দেওয়ায় এবং আগেও আচরণবিধি ভঙ্গ করার রেকর্ড থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া চট্টগ্রামেই অপর এক ঘটনায় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে নৌকার সমর্থক এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনা নয়।
ইতোমধ্যে অনেক আসনের ফল আসা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এগিয়ে রয়েছে। এরপর রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ে ফলাফলে এগিয়ে আছেন সারা দেশের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যারা ঈগল, ট্রাক, কেচি ও কেটলি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছে।
আরএইচটি/কেএ