ভোটার-ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। যেখানে বুথ রয়েছে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার। এই বিপুল সংখ্যক ভোটার এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ৩ হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন ৮ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচনে দেশে মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৮ লাখ সরকারি কর্মচারী ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। প্রায় ৩ হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখের বেশি সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
আরও পড়ুন
সিইসি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ। আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে নমিনেশন দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যবস্থাটি আগামীতেও বহাল থাকবে। সর্বশেষ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটার সাধারণ ও সর্বসাধারণের জন্য দিনব্যাপী কেন্দ্র ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের সুবিধাসম্বলিত দুটি ডিজিটাল অ্যাপস কমিশন সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। দৃশ্যমানতার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তোলা গেলে নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জনমনে আস্থা সৃষ্টিতে তা সহায়ক হয়।
এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় ২৩ হাজার দেশি এবং প্রায় ২০০ বিদেশি পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি ও বিদেশি সংবাদকর্মীও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং চিত্র ও তথ্য সংগ্রহে মাঠে অবস্থান করবেন বলেও জানান তিনি।
আরএইচটি/জেডএস