নির্বাচনী প্রচারণায় নারীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, অভিযোগ ইসিতে
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্যকে জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুর-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারী সদস্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দিয়েছেন। অভিযোগের সঙ্গে আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিও সিডি আকারে জমা দিয়েছেন তিনি।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত (মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া) ওই নারী সদস্যের নাম রোকেয়া বেগম। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ অভিযোগ করেন।
চিঠিতে রোকেয়া বেগম জানান, গত ২২ ডিসেম্বর ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থীর স্ত্রী বেগম তাসমিমা হোসেন সরাসরি তার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘ভান্ডারিয়ার গৌরীপুরের মেয়েদের নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করে রোকেয়া। এ গ্রামের মেয়েদের নিয়ে পতিতা বানাইছে।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, একজন নারী হয়েও আরেকজন নারীর বিরুদ্ধে বেগম তাসমিমা হোসেনের এমন কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, আপত্তিকর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ এলাকার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এ বেআইনি, মানহানিকর, বানোয়াট বক্তব্যের কারণে আমি আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। একই সঙ্গে চরম মানসিক ও সামাজিক পীড়ার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার উপবিধি ১১(ক)-এ উল্লেখ আছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর, কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না।’
রোকেয়া বেগম পিরোজপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত (মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া) সদস্য। এর আগে ২০১৬ সালের পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি ভান্ডারিয়া-ইন্দুরকানী থেকে সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রোকেয়া বেগম বলেন, তাসমিমা হোসেনের স্বামীর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণে আমাকে নিয়ে এসব আজেবাজে মন্তব্য করেছেন। তাসমিমা হোসেন তার কটূক্তির মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে ছোট করেছেন।
এমজে