থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করছে নগরবাসী
ইংরেজি পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ রাজধানীর নাগরিকেরা। তবে বিগত বেশ কয়েক বছরের মতো উৎসব আয়োজনে নাগরিকদের প্রতি এবারও ছিল প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ। করতে দেওয়া হয়নি খোলা স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। কিন্তু এই বিধিনিষেধের মধ্যেও নতুন বছরকে গ্রহণ করে নিতে নব প্রজন্মের উদ্দীপনা ছিল ব্যাপক।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার পর থেকে মহানগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় দেখা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে অনেক এলাকায় বাসা-বাড়ির ছাদে নানা আয়োজন করেছেন সাধারণ মানুষ। গান-বাজনা বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে এবং ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।
১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফুটতে দেখা গেছে আকাশে। আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে ওঠে রাতের আকাশ। উড়েছে ফানুসও। ছাদে-ছাদে পাল্লা দিয়ে বেজেছে গান। রাতে নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। কূটনৈতিকপাড়াসহ পুরো গুলশান এলাকায় ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইংরেজি বর্ষবরণে হোটেল-রেস্তোরাঁর আয়োজনও ছিল সীমিত পরিসরে।
এদিকে সন্ধ্যা থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাবের ডগ স্কোয়াড সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করছে। গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতেও আছে পুলিশের নজরদারি। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের সোয়াট টিম ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট আছে। কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ছিল।
এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বন্ধ ছিল হাতিরঝিলের সড়কও। এ ছাড়া, বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও র্যাব।
এমএইচএন/এমজে