গত ১৫ বছর চাকরের মতো করে খেটেছি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল। ২০০৮ সালের আগে এই উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোনো পিচ ঢালা সড়ক ছিল না। আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোন সড়ক পিচ ঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটি খোঁজ নিতে হয়। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে আমি যাই, রাস্তায় কোন গর্ত হয়েছে কি না দেখতে। এসব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।
নিজের ইউনিয়ন পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। শিলক খালের উপর চারটি ব্রিজ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে, তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি গত ১৫টি বছর চাকরের মতো করে খেটেছি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী তিনি এসব কথা বলেন। পদুয়া রাজারহাট হাসপাতাল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ।
আরও পড়ুন
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঈদ, পূজা-পার্বণে সাধারণ মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ উপকারভোগী রয়েছে। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাছাই করিনি। যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেব, বিনামূল্যে বই দেব, বিনামূল্যে চাল দেব, রাস্তা-ঘাট বানাবো, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেব তাহলে আমরা কি ভোটটা পাব না? তথ্যমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি গত ১৫ বছরে ২৪টি নতুন মসজিদ করেছি এই রাঙ্গুনিয়ায়। প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা একাধিকবার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছে। করোনাকালে প্রায় দুই কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। উপজেলা সদরে একটি এতিমখানা করছি, ইতোমধ্যে চারতলা হয়ে গেছে, আরও দুইতলা হবে। এক কোটি টাকার ঢেউটিন ফ্রি দিয়েছি। সরকারের বাইরে আমি নিজস্ব উদ্যোগে ৫২টি নতুন ঘর করে দিয়েছি।
নিজ গ্রামবাসীর উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ঠেলে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাকে টেনে তুলে নিয়েছেন। আমি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি দেশের মধ্যে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন জানাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এমআর/এসকেডি