আতশবাজিতে প্রাণীরা চমকে ওঠে, থার্টি ফার্স্টে না ফাটানোর আহ্বান
প্রাণী, শিশু ও বৃদ্ধদের কথা চিন্তা করে আসন্ন ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’-এ (৩১ ডিসেম্বর) আতশবাজি ফুটানো ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এই আহ্বান জানায় পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (পি' ফাউন্ডেশন), সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, ওয়াইলড ওয়াচ, স্টেলা ফাউন্ডেশন, সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ।
প্রতিবাদ সমাবেশে পি' ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বলেন, আতশবাজি বা পটকাবাজি মূলত তিন ধরণের ক্ষতি করে। এগুলো ফুটানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়, যা আমাদের চারিদিকে শব্দ দূষণ ঘটায়। এই শব্দ শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আতশবাজির শব্দে প্রাণীরা চমকে উঠে।
এছাড়া এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। এর কারণে প্রতিবছর হাজারো পাখি ও বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। পথে থাকা কুকুর-বিড়াল ভয়ে ছোটাছুটি করে, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাছাড়া এ থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বায়ু দূষণ ঘটায়, যা ফুসফুসের নানা রোগের কারণ।
তিনি বলেন, এছাড়াও পটকা ও আতশ কাগজ, ছোট ছোট পাথরের টুকরা ও বিস্ফোরকে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে কঠিন বর্জ্যে পরিণত হয়, পরিবেশ দূষণ তৈরি করে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজেই আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই পটকা বা আতশবাজির ফুটানো থেকে বিরত থাকা উচিত। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পাশাপাশি তিনি আতশবাজির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এবং এটি বন্ধে রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ, ওয়াইলড ওয়াচের সদস্য সুমন মজুমদার, স্টেলা ফাউন্ডেশনের নোনা আহমেদ, সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এমএসএ