বাঁচানো গেল না পাখি উদ্ধারে গিয়ে দগ্ধ হওয়া রবিনহুডের আতিফকে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পোষা পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ রবিনহুডের রেসকিউ টিমের সদস্য আতিফ (২২) মারা গেছেন। এই ঘটনায় রূপক (১৮) ও শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে আরও দুজন দগ্ধ হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
আতিফ পুরান ঢাকার লালবাগ থানার চান্দিঘাট এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে। আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সৌখিনতায় তিনি এ পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় আতিফ, রুপক ও শফিকুলকে হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ‘রবিনহুড রেসকিউ’ টিমের লিডার রবিন বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় যাই। সেখানে বিদ্যুতের তারে বসে থাকা একটি পোষা পাখি ধরতে গিয়ে এগিয়ে যান টিমের তিন সদস্য। লাঠির ফাঁদ দিয়ে পাখিটিকে ধরতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনজন।
শফিকুল ইসলাম শেখ হাসিনা বার্নে এখনও চিকিৎসাধীন আর রূপককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আতিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছিল।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন,বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
এসএএ/এনএফ