এসপির বদলির আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যশোরের ৬ এমপি প্রার্থী
যশোর জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের বদলির আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন যশোর জেলার ৬ এমপি প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবর আবেদনপত্র নিয়ে নির্বাচন ভবনে আসেন তারা।
আবেদন নিয়ে আসা সবাই জাতীয় পার্টির মনোনীত বৈধ এমপি প্রার্থী।
পুলিশ সুপার (এসপি) এর বদলির আবেদন নিয়ে আসা এমপি প্রার্থীরা হলে—যশোর-১ আসনের আখতারুজ্জামান, যশোর-২ আসনের মুফতি ফিরোজ শাহ, যশোর-৩ আসনের অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম বাচ্চু, যশোর-৪ আসনের অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, যশোর-৫ আসনের এম এ হালিম এবং যশোর-৬ আসনের জি এম হাসান।
এসব এমপি প্রার্থীরা বলেন, যশোর জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রায় তিন বছর ধরে কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তার শ্বশুর বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। সে-কারণেই তিনি মনিরামপুর উপজেলাসহ সমগ্র যশোরের বহু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ছাড়া তিনি মনিরামপুরের বর্তমান সংসদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের জামাই হিসাবেও সুপরিচিত। যা আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে।
যশোর-৬ আসনের এমপি প্রার্থী জি এম হাসান বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় জোয়ার্দারের দ্বারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাররা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আছেন। আবার সম্প্রতি তিনি নিয়মিত পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে সুষ্ঠু ভোটের জন্য মাঠে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে এই পুলিশ সুপারকে বদলি করে নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ দেওয়া জরুরি।
দাবি অনুযায়ী পুলিশ সুপারের বদলি করা না হলে যশোর জেলার জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কট করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি পঞ্চম দিনের মতো শুরু হয়েছে। সকাল দশটায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে (বেজমেন্ট-২) সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের আপিল শুনানির এই কার্যক্রম শুরু হয়।
আরএইচটি/এমএসএ