নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার ওয়ারীর সানাই কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির গঠন নিয়ে এই সভার আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচন হচ্ছে একটা ভোটযুদ্ধ। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছোট থাকুক-বড় থাকুক আমরা সেটাকে গুরুত্বের সাথে নেব। আমাদের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ছোট করে দেখব না। আমরা প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাব। জনগণের কাছে আমরা ভোট প্রার্থনা করব। আমরা জনগণের কাছে খালি হাতে যাচ্ছি না, আমাদের অর্জন আছে। আমাদের নেত্রী জনগণের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সেই অর্জনগুলো নিয়ে আমরা যাব।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র থাকা অবস্থায় নগরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আপনাদের দোয়ায় ও ভালোবাসায় আমি যখন মেয়র ছিলাম অনেক কাজ করেছি। মেয়রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অনেক কাজ হয়েছে। এসব অর্জন নিয়ে আমরা ভোটারদের কাছে যাব ও বিনীতভাবে ভোট চাইব। যাতে জনগণ আমাদেরকে আবার কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচনী কাজে শৃঙ্খলা বড় একটা বিষয়। নির্বাচনী কাজে কৌশলও বড় একটা বিষয়। আমরা একসাথে ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব। তাকে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাই, ইনশাআল্লাহ।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মৃতিচারণ করে তার ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের পরিবার এই এলাকার মানুষের কাছে প্রায় শত বছরের একটি বিশ্বস্ত পরিবার। আমার মরহুম নানা ঢাকার পৌর করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আমার প্রয়াত পিতা মোহম্মদ হানিফ অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র হিসেবে দীর্ঘ নয় বছর জনগণের সেবা করেছেন। আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। প্রায় ৮০ বছরের মতো আমার পরিবারের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্পর্ক। অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই এলাকার মানুষের সাথে আছি। আমরা নতুন কোনো মানুষ না, নতুন কোনো মুখ না।
এএসএস/কেএ