বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী
বাজার সিন্ডিকেট, অতি মুনাফালোভী এবং বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তাই এদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব একেএম খোরশেদ আলম বলেন, দেশে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, সেই সঙ্গে এরা দেশদ্রোহী।
তারা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৯০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১ লাফে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা হয়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে বাজার থেকে সরবরাহ কমিয়ে মজুতদার মজুতদারি করা শুরু করে। আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের একদিন আগেই এসব অসৎ ব্যবসায়ী বাজার থেকে জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই এদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বললে ভুল হবে না। সাধারণ মানুষ যখন নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় এই পরিস্থিতি বিরাজমান, সেই সময় এসব অসৎ ব্যবসায়ী দেশ ও জনগণের কথা না ভেবে শুধু নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য বাজারে নৈরাজ্য তৈরি করছে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর কেবলমাত্র জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে, যা দিয়ে কোনোভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এসব অসৎ ছোট ব্যবসায়ী যখন হাজার হাজার টাকা মুনাফা করে তখন তার কাছে ২০-৫০ হাজার টাকা জরিমানা গোনা কোনো বিষয় না। তাই তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা না গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। ভোক্তা অধিদপ্তরের ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এ ধরনের মামলা রুজু করে নাই। অন্যদিকে প্রতিযোগিতা কমিশনার বাজার নিয়ন্ত্রণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
তারা বলেন, নির্বাচনের আগে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে এটা সরকারের বোঝা উচিত। তাই দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ফোর্স তৈরি করে বা উপভোক্তা আদালত তৈরি করে সর্বোচ্চ শাস্তি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এএসএস/জেডএস