অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে নাগরিক সমাজের বিবৃতি না দেওয়া দুঃখজনক
দেশজুড়ে একমাসের বেশি সময় ধরে অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছে, কিন্তু তা নিয়ে নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নেই। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণায়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
যখন সারা দেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে, তখনই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সে আওয়াজটা সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে আশার কথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমি নাগরিক সমাজের একটি বিবৃতিও দেখিনি। নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলেন, সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু আজকে দেশজুড়ে একমাসের বেশি সময় ধরে অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছে, অনেক মানুষ তার বলি হচ্ছে, আগুনে ঝলসে গেছে, তা নিয়ে নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নেই। নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য নেই! নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী বলে যারা সমাজে পরিচিত, বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দেন, তারা এখন নীরব আছেন, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
নীরব থাকা নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সুবিধাবাদী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, তাদের চিনে রাখতে।
এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একটি বক্তব্যেরও জবাব দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একটা কথা বলেছেন, সেটি হচ্ছে ‘আওয়ামী লীগ নাকি দল থেকে নেতাকর্মীদের ভাগানোর রাজনীতি করছে।’ আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে একেবারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত বিএনপির নেতারা দল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে আমরা প্রশ্ন, আপনারা এই দলটি কেন করেন? যেই দল আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না। বিএনপি করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনারা দলটি করেন কেন? আজ কম্বলের তলা থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে রিজভীরা দেখবেন, তারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোটো হয়ে আসছে পৃথিবী।
এসএইচআর/এসকেডি