রাজধানীতে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, চট্টগ্রামে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মুরাদ চৌধুরীকে (৩৮) চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) থানার চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুরাদ চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্ব সরফভাটা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
র্যাব জানায়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে অবস্থান নেয়। তিনি অনুসারীদের নিয়ে নয়াপল্টন বিএনপি অফিস সংলগ্ন ভিক্টরি হোটেলের পাশের গলি দিয়ে পুলিশের ওপরে হামলার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন। এই দলের একটি অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে বিজয় নগর পানির ট্যাংকির দিকে যায় এবং অপর অংশটি ছাত্রদল নেতা আমান এবং জাকির হোসেন জসিমের নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের অপর প্রান্তের দিকে অগ্রসর হয়। রোডের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছানোর পর ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম প্রান্তে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে অপর প্রান্তের পুলিশ সদস্যরা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়।
পশ্চিম দিকে অগ্রসরমান পুলিশ সদস্যদের ওপর ছাত্রদল নেতা আমান, যুবদল নেতা জাকির হোসেন জসিম এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ মারা যান।এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন চট্টগ্রামের যুবদল নেতা মুরাদ চৌধুরী। তাকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল। সোমবার নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআর/জেডএস