এখতিয়ারের বাইরের গিয়ে আমরা কিছু করব না : সিইসি
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল কে, কখন করেছিল? প্রশাসনের রদবদল কোন নির্বাচন কমিশন করেছিল? এমন প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘সরকারের সাজানো প্রশাসনের অধীনেই কী এবার জাতীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, প্রশাসনের রদবদল কে কখন করেছিল? প্রশাসনের রদবদল কোন নির্বাচন কমিশন করেছিল?
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ নির্বাচনে প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হয়েছিল।
তখন সিইসি বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন করেনি। সরকার করেছে। সেটা লতিফুর রহমান করেছেন। আর লতিফুর রহমান কখনো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কিনা আমি জানি না। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন
আপনারা প্রশাসনের রদবদল প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমি জানি না। আমরা প্রয়োজন মনে করি, কি করি না। এমন প্রশ্ন আমি নেব না। আমরা আমাদের নির্বাচনের স্বার্থে যেটাকে ভালো মনে করব সেটা করব, যেটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে সেভাবে করব। এখতিয়ারের বাইরের গিয়ে আমরা কিছু করব না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে করব।
সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন আসলেই সেনাবাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী) প্রসঙ্গ আসে। সেনাবাহিনী নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কিছু নেই। আমরা সেনাবাহিনী নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। প্রয়োজন হলে আমরা একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে তারা (সরকার) আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় বোধ করার কারণ নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন পূর্ব সময় হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এতে কতগুলো ধাপ আছে। যখনই তফসিল ঘোষণা করে থাকি একটা ধাপ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিল পর্যন্ত। এরপর বাছাই। এরপরও কিছু স্টেজ থাকে। এরপর আপিল স্টেজ থাকে। শুনানি করে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেব। এরপর থাকে প্রত্যাহার। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার চূড়ান্তভাবে এলোকেট করবে। এবং বলবেন এখন তোমরা প্রচার করতে পারবে। এরপর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সেটা থেমে যাবে।
জেইউ/এসকেডি