পি কে হালদারের ধানমন্ডির ফ্ল্যাট ও জমি জব্দ
রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) রাজধানীর ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাট ও রূপগঞ্জের প্রায় ছয় একর জমি জব্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ফ্ল্যাট ও জমি জব্দ করা হয় বলে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) জানায় দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।
জব্দ করা ফ্ল্যাট দুটি হচ্ছে- রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩৯নং সড়কের ১২নং ফ্ল্যাট এবং পুরাতন ৬নং সড়কের ১৭নং প্লটে নির্মিত ভবনের ৭ম তলায় ২ হাজার ৬০৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।
এদিকে শংঙ্খ ব্যাপারী নামে পি কে হালদারের এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি তলব করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
দুদকসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে পি কে হালদারের আত্মীয় বলে পরিচিত শংঙ্খ বেপারীর নামে রাজধানীতে একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। যার সঙ্গে পি কে হালদারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই তাকে তলব করা হয়।
আলোচিত পি কে হালদার চক্রের প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
১০ আগস্ট পি কে হালদারসহ ৫ জনকে তলব করেছিল দুদক। যদিও পি কে হালদার অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন। মাঝে দেশে ফেরার জন্য আদালতে আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত আর ফিরেননি তিনি। পরে পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীসহ ৮৩ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
রিলায়েন্স ফাইন্যান্স, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল, লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্বপালন করার সময় পি কে হালদার প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্প্রতি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
আরএম/টিএম