মহাপরিচালককে গালি : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত পুকুর হতে মাছ ধরা, ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালককে গালিগালাজ এবং অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে ফরিদপুরের আঞ্চলিক পাট গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস, এম, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক অভিযোগনামায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিজেআরআই)। এতে সই করেছেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন) ড. এস এম মাহবুব আলী।
অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, ড. এস, এম, মনিরুজ্জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও), পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র, ফরিদপুর, প্রধান কার্যালয়ে কর্মকালীন অত্র ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের পুকুর হতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মাছ ধরাসহ বিজেআরআইয়ের গবেষণা পরিবেশ শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যে তিনজন কর্মচারীকে ১, মোস্তাফিজুর রহমান, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব রাজস্ব শাখা (সংযুক্ত), ২, কায়েস মণ্ডল, সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর (চলতি দায়িত্ব), পরিচালকের (প্রশাসন ও অর্থ) একান্ত শাখা এবং ৩, আবু হাবিব শাকিল, স্পিনার, মেকানিক্যাল প্রসেসিং সেকশন, জেটিপিডিসি)। গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে কেন ব্যাখ্যা তলব করা হয় সে সম্পর্কে সমালোচনা করে মহাপরিচালকে অকথ্য/অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আপনার এহেন কার্যকলাপ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ এর প্রবিধান ৩৮ (১) (খ) অনুযায়ী কর্মচারী আচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং ৩৯ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের শামিল।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু, আপনি বিজেআরআইয়ের বাসা বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির গত ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ধনঞ্জয় কুমার মাহাতো, সহকারী পরিচালককে (সাধারণ সেবা) টেলিফোনে এবং পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ (পিটিসি) বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সামনে মহাপরিচালক মহোদয়কে অকথ্য/অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন; যা শিষ্টাচারবহির্ভূত। এছাড়া, আপনি বিজেআরআইয়ের বাসা বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যগণকে দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সরকারি কাজে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রতি আপনার এমন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, শারীরিকভাবে লাঞ্চিতকরণ ও হুমকি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ এর প্রবিধান ৩৮ (১) (গ) অনুযায়ী কর্মচারী আচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং ৩৯ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের শামিল।
অভিযোগনামায় আরও বলা হয়, যেহেতু, আপনার উপরোক্ত কার্যকলাপ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ এর প্রবিধান ৩৯ (ক) ও (খ) এর আওতায় পড়ে; সেহেতু, আপনাকে উক্ত অভিযোগের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নং-০৮/২০২৩ রুজু করা হলো। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ এর প্রবিধান ৪০ (১) (ক) ও (খ) মোতাবেক যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে শুনানি দিতে চাইলে তাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।
এমএম/এমএ