দেশ ও সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষ যে দিকে তাকায় না, সমাজ যেটি নিয়ে ভাবে না, দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি যে দিকে কাজ করে না, সেক্ষেত্রে বিশেষ রিপোর্টিং দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি খুলে দেয় এবং সমাজকেও ভাবায়। এমন অনেক রিপোর্ট পত্রিকার পাতায় এবং টেলিভিশনে প্রচারের ফলে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত হয়। দেশ ও সমাজের জন্য এ ধরনের অনুসন্ধানী রিপোর্টিং খুবই দরকার।
রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন তাদের অনেক সময় অনেক হুমকির মুখে পড়তে হয়। এখন তো এমন একটি সময় এসেছে যে, অনেকেই নিজের ব্যবসার পাহারাদার হিসেবে পত্রিকা বের করে ও টেলিভিশন খোলে। আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি, সেখানে থেকে কাজ করা অনেক কঠিন হয়। কিন্তু অনেক সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে। তারা অনেক সময় রিপোর্ট নিয়ে আসে কিন্তু সম্পাদক সেটি সংবাদপত্রে ছাপান না, এ রকম ঘটনাও আছে।
তিনি বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে আমার সম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন আমি আপনাদের পাশে থাকব। আমার ছোটবেলার অনেক বন্ধু সাংবাদিক। আমি এই সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে জানি যে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কত প্রতিবন্ধকতা এবং যারা সাংবাদিকতায় ঢোকে তারা অনেক মেধাবী। আমার যতটুকু সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকবে সবসময় আপনাদের সাথে থাকব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউয়ের সভাপতি মুরসালিন নোমানী। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক শাহজাহান সরদার ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ।
এ সময় পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন এবং মোস্তফা কামাল মজুমদার ও ডিআরইউ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ১৯টি ক্যাটাগরিতে ২০ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। এতে ‘অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান।
এমএম/কেএ