পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনা থেকে ঢাকায় আসবে ২ ট্রেন
রাজশাহী থেকে চলাচল করা একটি আন্তঃনগর ট্রেন রুট বর্ধিত করে ঢাকায় এবং খুলনা থেকে চলাচল করা একটি মেইল ট্রেনকে কমিউটার ট্রেনে মানোন্নয়ন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতু রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল সই করা এক প্রস্তাবনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পত্রে বলা হয়, রাজশাহী-ভাঙ্গা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬) ট্রেনের রুট বর্ধিত করে পদ্মা সেতু দিয়ে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে এবং খুলনা-গোয়ালন্দঘাট-খুলনা রুটে চলাচলকারী নকশিকাঁথা মেইল (২৫/২৬) ট্রেনকে কমিউটার ট্রেনে মানোন্নয়ন করে এবং রুট পরিবর্তন ও বর্ধিত করে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে পরিচালনা করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা হলো।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৬) রাজশাহী থেকে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। এবং ঢাকা থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। যাত্রার উভয়পথে ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী, রাজবাড়ী, পাচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা পাখুরিয়া, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। তবে বর্তমানে যাত্রী ওঠানামার সুবিধার না থাকায় আপাতত 'ভাঙ্গা জংশন' স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।
ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার অপরিবর্তিত থাকবে এবং ট্রেনের বিদ্যমান রেক, কম্পোজিশন, মার্সালিং ও আসন বিন্যাস আগের মতোই থাকবে।
অন্যদিকে নকশিকাঁথা মেইল (২৫/২৬) ট্রেনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ট্রেনটি মেইল থেকে কম্পিউটার ট্রেনে উন্নীত হবে। ট্রেনটিতে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে কমিউটার ট্রেনে উন্নতি করার জন্য বিরতি সংখ্যা সীমিত রাখা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, মোমিনপুর, জয়রামপুর, জগতি, চড়াইকোল ও সূর্যনগর স্টেশনে যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার করা যেতে পারে। ট্রেনটিতে যাত্রীদের আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের জন্য বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনটি কমিউটার ট্রেনে উন্নীত করে ঢাকা শহর পর্যন্ত বর্ধিত করলে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে স্বল্প ভাড়ায় অত্র এলাকার জাতীয় সাধারণ ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বোপরি নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কমিউটার ট্রেনে উন্নীত করা হলে রেলওয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
নকশিকাঁথার প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি খুলনা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। এবং সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি রাত ১০টা ২০ মিনিটে খুলনা পৌঁছাবে।
যাত্রাপথে ট্রেনটির দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, আনসারবাড়িয়া, সাফদারপুর, উথলী, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালসা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুষ্টিয়া, কুমারখালি, খোকসা, মাছপাড়া, পাংশা, কালুখালি, বেলগাছি, রাজবাড়ী, খানখানপুর, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা, বাকুন্ডা, পাখুরিয়া, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা, মাওয়া, শ্রীনগর, নিমতলী ও গেন্ডারিয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। তবে বর্তমানে যাত্রী ওঠানামার সুবিধার না থাকায় আপাতত 'ভাঙ্গা জংশন' স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।
/এমএইচএন/এমএ