চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে শুরুতে ট্রেন চলবে ৬০ কিলোমিটার গতিতে
নবনির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে প্রথমদিকে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। তবে চলাচল শুরুর কিছুদিনের মধ্যে তা ৮০ কিলোমিটার গতিতে উন্নীত করা হবে। এছাড়া এই রুটের কালুরঘাট সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫ নভেম্বর রেলওেয়ের পরিদর্শন অধিদপ্তরের একটি টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল যাচাই-বাছাই করে। তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই রুটে আপাতত সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। কিছুদিনের মধ্যে তা ৮০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে।
জানা গেছে, শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামে-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধনের পর কখন থেকে এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন
দুয়েকদিনের মধ্যে সেটি নির্ধারিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে এরই মধ্যে এই রুটে ভাড়া মোটামুটি নির্ধারণ করেছে কতৃপক্ষ। সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা থেকে শুরু করে সিট এবং মানভেদে ভাড়া সর্বোচ্চ ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
এমআর/এমএসএ