এক মাস হয়তো চাপের মধ্যে থাকতে হবে
ডিসেম্বরের আগে আলু-পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে সুফল মিলছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, এক মাস হয়তো চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এটা ঠিক যে মূল্যস্ফীতির যে হিসাব করা হয় সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে পণ্যগুলো, সেগুলোর কিন্তু ওয়েটেজটা বেশি। যেহেতু এখানে ওয়েটেজ বেশি যেহেতু অক্টোবর মাসে কয়েকটা পণ্যের দাম বেশি হয়ে গেছে, বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম। এটা শুধু আমাদের কারণে নয়। যেমন পেঁয়াজ কিন্তু রপ্তানি বন্ধের কারণে, ইন্ডিয়া থেকে আসছে না। আলুটা যেমন আমদানি বন্ধ ছিল, এখন আমরা ওপেন (আমদানি) করে দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয় এখানে সম্পৃক্ত।’
‘আশা করি এটা আগামী মাস থেকে কমে আসবে। তবে ডিসেম্বরের শেষে ভালো ফল পাওয়া যাবে আমি আশা করি। আগামী একমাস হয়তো আমাদের একটু চাপের মধ্যে থাকতে হবে, যেহেতু কৃষিপণ্য এটাকে জোর করে ইয়ে (উৎপাদন) করার সুযোগ নেই। হয় উৎপাদন না হয় বিদেশ থেকে আমদানি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কৃষিপণ্যের বেলায় একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যেমন আলু কেউ যদি মজুত করে রাখে সেটা যদি সে পচিয়ে ফেলে তাহলে ব্যবসায়ীর কোনো লাভ আছে? লাভ তো নাই। সুতরাং আমার যেটি মনে হয় এ ধরনের পচনশীল পণ্য যেগুলো যখন দাম বাড়ে আমাদের দেখতে হবে যে সাপ্লাইয়ে সমস্যা আছে কি না অথবা হঠাৎ কোনো কারণে ডিমান্ডও (চাহিদা) কিন্তু বেড়ে যেতে পারে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের অবশ্যই মনিটরিং রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই এরপরেও আমাদের কিন্তু ভরসা করতে হয় যারা বিক্রেতা, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের ওপরেই। কারণ প্রত্যেকটা দোকানে-দোকানে গিয়ে কিন্তু প্রতিনিয়ত আপনি পাহারা দিতে পারবেন না। সুতরাং আমরা সবাইকে, জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করেছি।
‘আমরা এলাকার রাজনৈতিক নেতারাসহ অন্যান্য সামাজিক সংস্থাকেও বলেছি যে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে যে পণ্য বিপণন কমিটি রয়েছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি আছে তাদের নিয়ে ঘন-ঘন সভা করে এলাকায় মানুষকে সম্পৃক্ত করে; যেন সবাই এ পরিস্থিতিতে আমরা বুঝি, এখন মানুষজনকে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সুতরাং আমরা যেন সবাই যার যার যে ভূমিকা সেটা পালন করি। আশা করি ডিসেম্বরের শেষে যে ফসলগুলো চলে আসবে তখন এটার অবস্থা অনেক উন্নত হবে।’
এসএইচআর/এসএম