নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে ট্রেন, নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ-আরএনবি
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৩ দিনের সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেও সরকারি পরিবহন ট্রেন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে। ট্রেন চলাচল নিরাপদ করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষভাবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রবেশপথের মুখেই এক পাশে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অন্য পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা আতংকের মধ্যে থাকলেও তাদের এই পরিবেশ দেখে আতংক কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে সকাল থেকেই শুধুমাত্র সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সোয়া ঘণ্টা বিলম্ব ছাড়া প্রতিটি ট্রেনে নির্ধারিত সময় ছেড়েছে।
তবে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন যাত্রীরা অনেকটা শঙ্কায় থাকলেও তারা নিরাপদে পৌঁছেছেন। প্রতিটি গন্তব্য থেকে সঠিক সময়ে ট্রেনগুলো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছাচ্ছে।
সুমন্ত সাহা নামে ট্রেনের এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি জয়দেবপুর থেকে তুরাগ ট্রেনে ঢাকায় আসলাম। মতিঝিলে আমার অফিস। আসার সময় অনেকটা শঙ্কায় ছিলাম কেউ নাশকতা করে কি না। তবে নিরাপদে পৌঁছেছি পথে কোনো ধরনের নাশকতা হয়নি। আসার পথে দেখলাম প্রতিটি ট্রেনে ঠিকঠাক লাইন ধরে চলাচল করছে। কোনো লাইনের পাশে মানুষের জটলা নেই।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমাদের কাছে আসেনি। রেল চলাচল স্বাভাবিক আছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে, ফোর্স বেশি আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাই অধিকতর নিরাপত্তার জন্য আমাদের একটি ট্রলি ও একটি ইঞ্জিন রেডি করা আছে। এটির মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারব এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব।
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডেন্ট মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, আরএনবি, জিআরপি এবং ডিএমপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনটির একটি হচ্ছে সশস্ত্র, আরেকটি হচ্ছে সিভিল এবং সর্বশেষ হচ্ছে আমাদের যে জেনারেল ডিউটি থাকে, সেটি।
তিনি আরও বলেন, অবরোধের জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। গত মধ্যরাত ১২টা থেকে আমরা রেললাইন পাহারা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের স্টাইকিং ফোর্স সব জায়গায় রেডি আছে। ঢাকা, আখাউড়া, ময়মনসিং, কুলাউড়া এবং সিলেট সেকশনে আমাদের জন্য আলাদা ইঞ্জিন রেডি করা আছে। যেন আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাহারা দিতে পারি।
/এমএইচএন/এমএ