গণপরিবহন কম, পায়ে হেঁটে গন্তব্যে মানুষ
বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরই অংশ হিসেবে সকাল থেকেই রাজধানীর আমিনবাজার দিয়ে প্রবেশে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশের সদস্যরা।
আমিনবাজারে পুলিশের কড়া নজরদারিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ মাদককারবারীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য গণপরিবহনও চলছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। যার ফলে অনেক মানুষকে হেঁটেই যেতে হচ্ছে রাজধানীতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীতে ঢুকতে আমিনবাজারে কড়া তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। গণপরিবহন, মোটরসাইকেল আরোহীসহ যেসব সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে সাভার থেকে আসছে তাদের সবাইকেই তল্লাশি করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা বাসে পুলিশ উঠে তল্লাশি করছে। এছাড়া, মোটরসাইকেল আরোহীদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কাঁধে থাকা ব্যাগে তল্লাশি করা হচ্ছে। এর বাইরেও পথচারীদের সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সকাল থেকেই সাভার, মানিকগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি প্রবেশ করছে ঢাকায়। সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে আসা বেশিরভাগ বাসই রয়েছে যাত্রীতে ঠাসা। তবে দূরপাল্লার বাসগুলো বেশিরভাগ ফাঁকা বা অল্পকিছু যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। তবে সব গাড়িকেই কঠোর তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
কুদরত নামের একজন পথচারী বলেন, আমি থাকি সাভারে এবং চাকরি করি মিরপুরের এক নম্বরে। সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে করেই আসছিলাম। কিন্তু আমিনবাজারে পুলিশের তল্লাশির কারণে অনেকক্ষণ যানজটে আটকে যাই। অনেকক্ষণ বাসে বসে থেকে বাধ্য হয়েই হেঁটে রওনা হলাম। কোনো রিকশা না থাকায় হেঁটেই যেতে হবে।
রাইসুল নামে আরেক পথচারী বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে বাধা ছাড়াই এসেছি। কিন্তু এখানে (আমিনবাজারে) এসে আটকে গেছে। পুলিশ কঠোর তল্লাশি করল। এনআইডি সাথে থাকায় এবং যা যা প্রশ্ন করেছে সেগুলোর সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। সামনে গিয়ে রিকশায় উঠবো।
এসআর/এনএফ