কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতের সতর্কতা হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যেসব এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছিল সেগুলোও বাতিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সব এয়ারলাইন্সকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন কুতুবদিয়া দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন আজ সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
অপরদিকে রাতে আবহাওয়ার ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র মূল অংশ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এআর/এমজে