কর্মসূচির নামে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে কঠোর হস্তে দমন
২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি করে, ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে আতঙ্ক-উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থন্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়। অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আরেকটা শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ।
এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ২০১৩-১৪ সালে এরকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা।
আগামীতেও এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ এক হয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
জেইউ/এনএফ