হানিফ পরিবহনের মালিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদের মামলা
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ মিয়ার স্ত্রী ইভা হানিফের বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ মিয়ার স্ত্রী ইভা হানিফের ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫ কোটি ৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৯১ টাকার সম্পদের মধ্যে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৮৬০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সূত্র আরও জানায়, হানিফ মিয়ার স্ত্রী ইভা ২০০১-০২ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ১৭৭ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭-২০১৮ ও ২০২০-২০২১ করবর্ষে ১৯ (এএএএএ) ধারায় ১ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬০ টাকা বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। সব মিলিয়ে তার নামে মোট ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হিসাবে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন
এর আগে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সম্পদের হিসাব জমা না দিয়ে দুদকের মামলার আসামি হয়েছিলেন হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ মিয়া। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হানিফ দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক আছেন। দুদকের অনুসন্ধানে পৌনে ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তার বিরুদ্ধে। যে কারণে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়ার পরও তা জমা না দিলে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারার বিধান অনুসারে তার প্রতি সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু নোটিশ অমান্য করে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হলো।
আরএম/এনএফ