পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। পাশাপাশি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি।
রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ছয় সদস্যের মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকায় আসে দলটি।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) একটি প্রতিনিধি দল শনিবার থেকে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই-এর নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করতে তাদের এই সফর।
ছয়জন প্রতিনিধি ও সাপোর্ট স্টাফের প্রতিনিধি দলটি এক সপ্তাহের বাংলাদেশ সফরে নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব সংগঠনসহ সুশীল সমাজ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে।
সফর শেষে প্রতিনিধিদল ইতিবাচক বিষয়গুলোর পাশাপাশি উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো ও বাস্তবসম্মত সুপারিশগুলো তুলে ধরে একটি বিবৃতি দেবে। তারা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডার, ওয়াশিংটন ডিসির নীতিনির্ধারক এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিক ব্রিফিং ও পরামর্শ করবে।
প্রতিনিধি দলটির প্রাথমিক কাজ হবে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচনী প্রেক্ষাপট সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য সরবরাহ করা। তবে নির্বাচনের দিন সীমিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো হবে কি না তাও নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সম্প্রতি ইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। পরে অবশ্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন প্রধান ইইউকে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এনআই/জেডএস