‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বেস্ট’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আওতায় ৯০০-এর বেশি নির্বাচন হয়েছে। সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বেস্ট।
আজ (বুধবার) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনেরা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিশ্চিত করা ও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে জোর দিয়েছেন বক্তারা। একইসাথে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনেরও তাগিদ দেন তারা।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন বিজ্ঞ। অথচ বিএনপি-জামায়াত কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছে। জামায়াতকে বহু আগে থেকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা নির্বাচন কমিশন ও সরকার মানে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভন্ডুল করেছে কে? তারা নির্বাচন কমিশনকে এখন পদত্যাগ করতে বলছে। আমার প্রশ্ন কমিশন কেন পদত্যাগ করবে?
তিনি আরও বলেন, সরকারের জন্য এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জ। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, এবার তার প্রমাণ দিতে হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সমালোচনা করে হারুন অর রশিদ বলেন, বিএনপি ও বদিউল আলম মজুমদারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বদিউল আলম মজুমদার বিএনপির সুরে কথা বলেন। বিএনপি ও জামায়াত গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ আসবে না। এই সময় নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিছুটা ব্যত্যয় হলে বিএনপি-জামায়াতের কারণে হয়েছে। নির্বাচন অংশ ও বর্জন তাদের অধিকার, কিন্তু বাধা দেওয়ার অধিকার তাদের নেই।
এসআর/এনএফ