৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রুমে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
পটুয়াখালী সদরের একটি বাসায় রুমের ভেতরে আটকে পড়েছিল তিন বছর বয়সী এক শিশু। পরে ভেতরে থেকে দরজা খুলতে না পেরে কাঁদতে থাকে সে। কোনো উপায় না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পটুয়াখালী সদরের শান্তিবাগ থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন তুষার নামের একজন কলার। সেসময় তিনি জানান, তার বাসার গৃহকর্মীর তিন বছর বয়সী শিশুসন্তান রুমের ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সে আর ছিটকিনি খুলতে পারছে না। তারা অনেক চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারেননি। শিশুটি রুমের ভেতরে ভয়ে কান্নাকাটি করছে। এ অবস্থায় কলার উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করেন।
তিনি আরও জানান, কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরে ৯৯৯-এর ফায়ার ডেসপাচার ফায়ার ফাইটার মো. সজীব মিয়া উদ্ধার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘হাইড্রলিক স্প্রেডারের’ সাহায্যে দরজা খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া ফিরোজ আহমেদ ৯৯৯-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এমএসি/কেএ