মা-মেয়ের সঙ্গে নারী সার্জেন্টের ধস্তাধস্তির ঘটনা তদন্তের দাবি

অবৈধভাবে যত্রতত্র পার্কিংয়ের জেরে মামলা, মা-মেয়ের সঙ্গে নারী সার্জেন্টের ধস্তাধস্তি এবং নির্যাতনের অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। উভয়পক্ষের বক্তব্য ভীতিকর উল্লেখ করে ঘটনার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘নারী সার্জেন্টের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, কারাগারে মা-মেয়েকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে দিন স্বজনেরা’– শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদ এলাকায় একটি প্রাইভেটকার অবৈধভাবে পার্কিংয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই সার্জেন্টের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান দিলারা আক্তার ও তার মেয়ে তাসফিয়া। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সার্জেন্ট হাসিনার করা মামলায় গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মা ও মেয়েকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্র্যাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুনের নির্যাতনে কারাবন্দি মা ও মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন। মারধরে দুজনের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মা দিলারা আক্তার ও মেয়ে তাসফিয়া ইসলামের সঙ্গে দেখা করে স্বজনেরা এসব কথা জানিয়েছেন।
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিলারা আক্তার ও তার মেয়ে তাসফিয়া ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা অত্যন্ত ভীতিকর।
এদিকে পুলিশ বলছে, মেয়েকে জরিমানার বিষয়টি জানতে পেরে দিলারা আক্তার বাসা থেকে এসে সার্জেন্ট হাসিনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলেন। বিষয়টি পর্যালোচনায় উভয়পক্ষের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী মর্মে প্রতীয়মান হয়। বর্ণিত ঘটনার সত্যতা নিরুপণের লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া আবশ্যক মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে।
এ অবস্থায় অভিযোগে উল্লিখিত ঘটনাটির একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
জেইউ/কেএ