তেজগাঁওয়ে গুলি : সন্ত্রাসী মামুনের পূর্বপরিচিত হিমেল গ্রেপ্তার

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে প্রাইভেটকার আরোহী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় মারুফ বিল্লাহ ওরফে হিমেল (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সহকারী কমিশনার (এসি) এস এম আরিফ রাইয়ান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মারুফ বিল্লাহ শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের পরিচিত। প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে একে-অপরকে চেনেন। ঘটনার আগে মামুনকে একাধিকবার ফোন করে সর্বশেষ লোকেশন জেনে নেন। এরপর তিনি গোলাগুলির ঘটনার সময় সশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন : তেজগাঁওয়ে গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসী ইমনের হাত রয়েছে : ডিবি
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম আরিফ রাইয়ান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত হিমেলকে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় রাত ১০টার দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লেগেছিল মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। কাজ শেষে তিনি গুলশানের অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে মতিঝিলের আরামবাগের বাসায় ফিরছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত শনিবার তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন : বার থেকে ফেরার পথে প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি, পথচারী গুলিবিদ্ধ
ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বলছে, তাদের ধারণা, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। সে সময় আইনজীবী ভুবন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন।
কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্তি পান। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈদ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী।
এ ঘটনায় ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরদিন তার স্ত্রী রত্না রানী শীল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় এই প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
জেইউ/এসকেডি