অবহেলায় ঝরল চার তাজা প্রাণ, দায় কার?
রাজধানীর মিরপুর কমার্স কলেজ-সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সড়ক। সেখান থেকে উচ্চতায় মাত্র ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উপরে দুই পাশের ফুটপাত। গত বৃহস্পতিবার রাতে মূল সড়ক ছাপিয়ে বৃষ্টির পানি উঠে যায় ফুটপাত ও আশপাশের দোকানে। রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতের দুর্ঘটনার পর দুদিন অতিবাহিত হলেও সেই ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি ডেসকো। সেই রাতে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ওই এলাকার সড়ক ফুটপাত ও দোকান ডুবে গিয়েছিল। অথচ আজও আশপাশের অবৈধ স্থাপনা ও ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক করেনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
অন্যদিকে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত দায়ী বা অবহেলাজনিত দোষী কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, অবহেলায় চারজনের মৃত্যুর দায় কার?
পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, দায় সরকারকেই নিতে হবে। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশন- কেউ দায় এড়াতে পারে না।
আরও পড়ুন : চোখের নিমেষে সব শেষ, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল সাত মাসের শিশুটি
মানবাধিকার কমিশন বলছে, দায় যারই থাক, এমন অসভ্যতা আর চলতে দেওয়া যায় না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএনসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দায় ডেসকোর। যদিও এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি মেয়র আতিকুল ইসলাম কিংবা ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা।
এদিকে ডেসকো বলছে, বিদ্যুতের চোরাই লাইন সম্পর্কে তারা জানতেন না, লাইনটি নেওয়া হয়েছিল ডিএনসিসির ড্রেনের নিচ দিয়ে। এর দায় ডিএনসিসিকে নিতে হবে।
তবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ডেসকো থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রবল বৃষ্টিতে মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশের ফুটপাত ডুবে যায়। অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন থেকে সেখানে জমে থাকা পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন পাঁচজন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠালে চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। একজন ছিল ৭ মাসের শিশু। সে আহত হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। তাকেও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন : যে ছবিতে স্তব্ধ গোটা দেশ!
নিহতরা হলেন, মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (০৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ অনিক (২০)।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মিরপুর কমার্স কলেজ-সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে হাজী রোডে বি ব্লকের মুক্তা ফার্মেসির সামনে উৎসুক জনতার ভিড়।
স্থানীয়রা বলছেন, এখানে যে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল সেটা অনেকেই জানতেন। ডেসকোর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তার একপাশ থেকে বস্তিতে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ। তবে বড় বিপদের আশঙ্কা করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেউ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিলপাড় বস্তির সামনে ও হাজী রোডের পেছনে মিরপুর-২ ডুইপ আবাসিক এলাকার বি ব্লকের দুই নম্বর রোডে থাকা বিদ্যুতের পিলার থেকে ওই বস্তির ভেতরে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। যে দুটি পিলার থেকে এই অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে গিয়ে সংযোগের তার কাটা অবস্থায় দেখা যায়। এই দুই পিলারের একটির অবস্থান মুক্তা ফার্মেসি ভবনের পেছনে। সেখানে এখনো ঝুলছে বিদ্যুতের লাইন।
আরও পড়ুন : ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফেরা হলো না মিজান ও মুক্তার
মুক্তা ফার্মেসি ও ভবনটির মালিক জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই ভবনের পাশের সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার ছাদ দিয়ে লাইন টানা হয়েছে। এই ভবনের দেয়াল দিয়ে নামানো হয়েছে সামনের ড্রেনে। কেউ যাতে না বুঝতে পারে এ কারণে মাদরাসার ছাদে ও ভবনের যে দেয়াল দিয়ে তার টানা হয়েছে এই অংশ সিমেন্ট-বালু দিয়ে প্লাস্টার করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টারের ভেতর দিয়ে এখনো তার দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেখেন প্লাস্টার পার হয়ে সামনের ড্রেনের ভেতর দিয়ে বস্তিতে তার টানা হয়েছে। ড্রেনের ভেতরের তার কসটেপ দিয়ে পেঁচানো হয়েছে। আর এই তারের লিকেজেই বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জসিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গিয়ে দেখা যায়, ডিএনসিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ড্রেনের নিচে কালভার্টের ভেতর দিয়ে সেই বিদ্যুতের অবৈধ লাইন চলে গেছে বস্তিতে। আজও সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে বিদ্যুতের অবৈধ লাইন।
স্থানীয়রা জানান, ঝিলপাড় বস্তিতে যেসব বাসা ভাড়া দেওয়া হয়, তার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলও যুক্ত। এ কারণে যারা বাসা ভাড়া দেন তাদের বেশিরভাগই বিদ্যুতের চোরাই লাইন ব্যবহার করেন। অবশ্য এই বস্তিতে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) কিছু প্রিপেইড মিটার রয়েছে। এক মিটার থেকে একাধিক বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে।
সবুজ নামে বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, বস্তিতে বৈধ লাইনের পাশাপাশি অবৈধ লাইনও আছে। যারা বস্তি নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের সঙ্গে ডেসকোর স্থানীয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদ্যুতের চোরাই লাইন বস্তিতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ডেসকোর লোকজন চোরাই লাইন বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা নেন।
খোঁজ নেননি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য
নিহত মুক্তার ভাই হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, ‘বোন মরল, বোন জামাই মরল। অথচ কেউ আইল না খোঁজ নিতে। সান্ত্বনা তো দূরের কথা।’
আরও পড়ুন : বৃষ্টি হলো রাতে, সকাল পেরিয়ে দুপুরেও নামেনি পানি
তিনি বলেন, ‘আমার বোন-দুলাভাই থাকে চিড়িয়াখানা রোডে। বাজার থেকে ফেরার পথে ওরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। অথচ দেখেন আজও সেসব অবৈধ লাইন রয়ে গেছে। ডেসকোর লোকজন চাইলেই চোরাই লাইন বন্ধ করতে পারে। কিন্তু তারা এখনো করেনি, করবেও না।’
ডেসকো বলছে তদন্ত হচ্ছে, দায় রয়েছে ডিএনসিসির
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা একটা শক্ত পদক্ষেপ নিতে চাই। যারাই চোরাই লাইন নিয়েছে, কোথা থেকে নিয়েছে তা শনাক্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
চারজনের মৃত্যুর পরও কীভাবে এখনো অবৈধ লাইনের সংযোগ রয়ে গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতক্ষণে তো লাইন থাকার কথা নয়। আমি এখনই বলছি, কোনো ঝুঁকিপূর্ণ লাইন যেন না থাকে। কোনো চোরাই লাইন থাকবে না।
দুর্ঘটনার পর কেন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আসছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঝিলপাড় বস্তিতে চোরাই লাইন চলে আমরা জানতাম। এজন্য বেশ কয়েকবার সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। ডেসকোর কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিরপুর-২ বি ব্লকের দুই নম্বর রোডের পিলার থেকে বিদ্যুতের অবৈধ লাইন টানা হয়েছে, এটা জানা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে ডেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (রূপনগর) রূপণ কান্তি দাশ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ লাইন এখনো না সরানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে তো আর দেখিনি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সূত্রপাত কোথায় সেটা আগে বের করতে হবে।’
মন্তব্য জানতে ডিএনসিসির স্থানীয় কাউন্সিলর (ওয়ার্ড-৭) মো. তফাজ্জল হোসেনকে (টেনু) একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
দুর্ঘটনায় ডেসকোর দায় দেখছে ডিএনসিসি
যোগাযোগ করা হলে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সে রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। ফুটপাত বা ড্রেন থাকলেও অতিবৃষ্টি হলে কী করার আছে। এমন তো না যে সেখানে দুই ঘণ্টা পানি জমে ছিল। আর দুর্ঘটনা তো ঘটছে ডেসকোর চোরাই লাইন থেকে। এটার দায় ডেসকোকে নিতে হবে।
আরও পড়ুন : ‘এক আঙুল পানি বাড়লেই আমিও মারা যেতাম’
এখনো সেখানে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ রয়েছে, যে সংযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ডিএনসিসির ড্রেন ও কালভার্টকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এসব তো দেখবে ডেসকো। বস্তির অসাধু লোকজন সেখানে বিদ্যুতের অবৈধ লাইনের সংযোগ নিয়েছে।
তদন্ত কমিটি করেনি ডিএনসিসি
জলাবদ্ধতার দায় ডিএনসিসির, তবে দুর্ঘটনা অবৈধ বিদ্যুতের লাইন থেকে। সেটা দেখার দায় ডেসকোর উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা। আমাদের দায় যদি থাকে সেটা জলাবদ্ধতা। কিন্তু সেটা আমরা দেখছি, ড্রেন ভরাট হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতলে। জনগণকেও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডেসকোর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে যাদের দায় বা অবহেলা থাকবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে মিরপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামালা করেছেন নিহত অনিকের বাবা বাবুল মিয়া।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। ওই রাতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ডেসকো ঘটনার তদন্ত কমিটি করেছে। সেজন্য আমরা এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করিনি। এ ঘটনায় যারই দায় পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চারজনের মৃত্যুর দায় সরকারকেই নিতে হবে
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতিবৃষ্টিতে ঝুঁকি কিংবা ভোগান্তির শিকার প্রধানত নিম্নবিত্ত বা গরিব মানুষই হয়। কারণ তাদের আবাসস্থল পরিকল্পিত এবং নিরাপদ নয়। অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। সরকার যদি সত্যিকারের উদ্যোগ নিত তাহলে আজ আমাদের এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর শুনতে হতো না।
ডেসকো কোনোভাবেই এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ছিল। সরকার রেভিনিউ বঞ্চিত হয়েছে। একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ডেসকোর অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই মৃত্যুর দায় যেমন বিদ্যুৎ বিভাগ এড়াতে পারে না, তেমনি সরকারের গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনও এড়াতে পারে না। আর সর্বোপরি নাগরিকদের নিরাপদ আবাসনের দায়িত্ব সরকারের।
সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মানবাধিকার কমিশনের
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. কামালউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চারটা তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের দেশে অবৈধ কারবারের মতো এ রকম অসভ্যতা একটা কমন ব্যাপার হয়ে গেছে। এগুলো আর হতে দেওয়া উচিত নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অবশ্যই এটা নিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কথা বলব।
জেইউ/এসকেডি