রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘নিশ্চুপ’ যুক্তরাষ্ট্র, বাড়ল অর্থ বরাদ্দ
· যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বার্তা ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’
· সরকার চাইলেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারবে না
· নির্বাচনী পর্যবেক্ষক রং পলিসি
· নির্বাচনী আলাপ চাপিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু
· রাখাইনে রোহিঙ্গা ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি : উজরা জেয়া
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধারণা করা হয়েছিল, এসব বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করাসহ সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। কিন্তু, সব আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে রোহিঙ্গা ইস্যু।
বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা আলোচনায় বারবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এখনও নির্বাচনের চেয়ে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সায় নেই। বরং এদের জন্য আরো ১১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে কাজে যোগ দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
• জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে সৎ থাকতে হবে
গতকাল জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে এসব কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবশ্য এর আগে গতকাল রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঞ্চালনায় ওই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এজন্য এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে না। রোহিঙ্গাদের কাজ দেওয়ার কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বলেছি, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মাছ ধরা, গরু-মহিষ চরানোর মতো কাজ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা দিনে দিনে অস্থির হয়ে উঠছে। এদের ভবিষ্যৎ নেই। এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রত্যাবাসন। কিন্তু, মাতব্বরদের বাধার কারণে আমরা প্রত্যাবাসনটি শুরু করতে পারছি না। এই মাতব্বরদের মধ্যে কিছু কিছু মুরুব্বি আছেন যারা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্পকেও মানছেন না। তারা বলেছেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না।
• বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া চার প্রস্তাবের প্রথম ও দ্বিতীয়টিতে বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরো বহুগুণ বাড়াতে হবে। সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর। আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করেন এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখেন।
তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইন এবং বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন। গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি।
রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ হ্রাস পেয়েছে
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছেন।
মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন। বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না, কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতারণের শিকার হয়েছে। তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে।
• পবিত্র কোরআন হাতে জাতিসংঘের অধিবেশনে ইরানের প্রেসিডেন্ট
বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে।
‘আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বার্তা ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’
আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয় সেই বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এই বার্তা দেন।
ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের ‘বাজেট স্বল্পতার কারণে’ বাংলাদেশে সংসদ নর্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না— এমন তথ্য সামনে আসার পরই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কথা সামনে এল। পাশাপাশি, আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি পর্যবেক্ষক দল আসবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া জাতিসংঘের দ্বিপক্ষীয় বুথ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। যুক্তরাষ্ট্র এতদিন বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসলেও ওই বৈঠকেই সম্পূর্ণ নতুন কথা অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র এতদিন ধরে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে এলেও গতকাল থেকে শুধু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলা শুরু করেছে।
অপরদিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাইলে সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতা নিশ্চিতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
• ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার হাই অ্যালার্টে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার কথা বলে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের উপরেই দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে এখন বাংলাদেশের নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান কী হয় তা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বেড়েছে, এটা তারই নমুনা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছে। বাংলাদেশও তাই চেয়েছে। তবে, গতকালের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে দাবি তুলেছে, বাংলাদেশে তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবার অংশগ্রহণ ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। আপনারা সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দিন। শান্তির জন্য আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) সাহায্য করতে পারেন।
সরকার চাইলেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারবে না
উজরা জেয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি— জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। আর কারচুপির মাধ্যমে কোনো সরকার যদি ক্ষমতায় আসে সেই সরকার বেশিদিন টিকবে না।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট। সরকার আগামী নির্বাচন ফ্রি এবং ফেয়ার করতে চায়। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন একটা সরকার চাইলেই গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সব দল ও মতের আন্তরিকতা প্রয়োজন, না হলে সম্ভব না। আই ক্যান নট গ্যারান্টি পিসফুল নির্বাচন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পর্যবেক্ষক আসুক, দেখুক। তাদের স্বাগতম।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ‘রং পলিসি’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না, এমনকি ইংল্যান্ডেও যায় না। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত, সেখানেও কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশের প্রধানকে জিজ্ঞেস করলাম সেই দেশেও নির্বাচন অবজারভার যায় না। আমাদের দৈন্য অবস্থা... কারণ আমরা অনেকদিন উপনিবেশ ছিলাম। আমরা এখন বিদেশিদের সনদ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই না। আমরা এখন নিজেরাই আত্মবিশ্বাসী।
আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশ, আমরা বিদেশিদের সনদ আর নেব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন শক্ত অবস্থানে আছি। অধিকাংশ নির্বাচন ভালো করছি, তারপরও আপনারা নির্বাচন অবজারভার নিয়ে চিৎকার করছেন। তারা আসুক, দেখুক। তবে, আমি বলব নির্বাচন অবজারভার একটা রং পলিসি।
বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না— এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। তারা আজিজ মার্কা নির্বাচন চায়। তবে, আমরা আশা করব সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
এনএম/এমজে