হাসপাতালের ওষুধ পাচার ও দালালের দৌরাত্ম্য, দুদকের অভিযান
রোগীদের চিকিৎসা সেবায় গাফিলতি, দালালদের আধিপত্য ও হাসপাতালের ওষুধ বাইরে পাচার হয়ে যায়। এমন অভিযোগে ঠাকুরগাঁও ২৫০ সজ্জার জেনারেল হাসপাতাল ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও ২৫০ সজ্জার জেনারেল হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের ঠাকুরগাঁও অফিসের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অভিযানের সময় দুদক টিম হাসপাতালের আরএমওকে নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে। এসময় রান্নাঘরের স্টোর পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়।
এ সময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তারকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না এবং লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয় না সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এরপর তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
অভিযানের সময় হাসপাতালে দুটি সাব স্টোর পরিদর্শন করে একটিতে ৫৪টি ইনজেকশন মিসিং পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম শিগগিরই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন মেরামত না করে অসাধু চক্রকে সুবিধা দিতে মেরামত না করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার অভিযোগে দুদকের নোয়াখালী অফিস অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় এক্সরে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন সচল অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় ওই যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে স্থানীয় জনগণ প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ সময় টিম দালালদের দৌরাত্ম্য দেখতে পায়। দালালদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বহিরাগতদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় দুদক টিম।
আরএম/জেডএস