‘ওজোনস্তর রক্ষায় সিএফসি-এইচএফসি মুক্ত ফ্রিজ-এসি ব্যবহার করতে হবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব মুক্ত থাকতে ওজোনস্তর ক্ষয়রোধে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে জনগণ সিএফসি মুক্ত ফ্রিজ ও এসি কিনতে পারেন। বায়ুতে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য যাতে নির্গমন না হয় টেকনিশিয়ানদের, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ওজোনস্তরের গুরুত্ব ও এর রক্ষায় করণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর জাতীয় যাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সার, চোখে ছানি পড়া রোগ বৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সিএফসি, মিথেন ইত্যাদি গ্যাসের প্রভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে এ ওজোনস্তর। এ গ্যাসগুলো সাধারণত রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে, ইনহেলারে, প্লাস্টিক ফোম তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এ লক্ষ্যে ওজোনস্তরের ক্ষয়কারী সিএফসি, এইচএফসি গ্যাসসমৃদ্ধ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ করলে আমাদের সবার জন্য মঙ্গল।’
সমাবেশ ও র্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ডক্টর ফাহমিদা খানম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের প্রমুখ।
এছাড়াও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারীরা, বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, সোসাইটি অব রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
/এমএইচএন/এফকে/