যানজট নিরসন নয়, আঞ্চলিক যোগাযোগে ভূমিকা রাখবে এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকার যানজট নিরসনে নয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আইপিডি কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত সমসাময়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানে এ বিষয় তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।
আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপযোগিতা সাধারণ মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে সিটি বাস সার্ভিসের জন্যেও ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজাইন সংশোধন ও বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া বর্তমানে চালু হওয়া আংশিক অংশে ফার্মগেট, এয়ারপোর্ট সরাসরি বাস সার্ভিস ও মিনি বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রাবাড়ী, এয়ারপোর্ট, উত্তরা বাস সার্ভিস চালুর দাবিও জানানো হয়। সেই সঙ্গে টোল আদায়ে অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহার ও গাড়ির গতিবেগ নজরদারির ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানায় আইপিডি।
আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা চালু হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি ও বাণিজ্যে সুফল আসবে। উত্তরাসহ টঙ্গী গাজীপুর, বিমানবন্দর ও পূর্বাচলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দ্রুততর হবে।
এছাড়া ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের দ্রুত চলাচলে ভূমিকা রাখবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। তবে এই ধরনের এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকার যানজট অনেক কমে যাবে, এ আশাবাদের বাস্তবতা নেই। বরং পুরোপুরি চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পগুলোর আশেপাশে যানজট আরও বাড়তে পারে।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য প্রধানত ডিজাইন করা হয়নি। এই এক্সপ্রেসওয়ে মূলত ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। কিন্তু, গণপরিবহনের উন্নয়ন, বাস-সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি। এর ফলে নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না।
এএসএস/এমজে