ঢাকায় আরামদায়ক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি
স্বাধীনতার পর শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থসামাজিক অবস্থাসহ গড়-জিডিপিতেও এশিয়ার বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তারপরও ঢাকায় গণমানুষের আরামদায়ক যাতায়াতের কোনো গণপরিবহন ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। কিন্তু বেসরকারি খাতে পরিচালিত আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসগুলো উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করা যায় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। যাত্রী অধিকার দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য 'সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রীদের অধিকার চাই'।
তিনি বলেন, সরকার বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রেতা ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে বাস মালিকদের সংখ্যা অনুপাতে যাত্রী বা ভোক্তা প্রতিনিধি রাখার বিধান থাকলেও নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে মালিক-শ্রমিক সরকার মিলে মিশে ভাড়া নির্ধারণ করছে। এতে করে কখনো কখনো সরকার ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই যাত্রী তথা জনস্বার্থে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধন পূর্বক বাস ও গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে বাস মালিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার বিধান সংযুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাসের রুট পারমিট তথা রুট অনুযায়ী বাসের সিলিং নির্ধারণ, ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ, বাসস্টপেজ নির্ধারণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং কমিটি, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিল, বিআরটিএ, বিআরটিসি, সওজ, মেট্রোরেল পরিচালনা পর্ষদ, যাবতীয় টোল নির্ধারণ, পরিবহন আইন ও বিধি বিধান তৈরি ও সংশোধন, সংযোজনে, যাত্রী সাধারণের জন্য সুযোগ সুবিধা নির্ধারণের প্রতিটি কমিটিতে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এসকেডি