দিল্লির পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দিল্লির পালাম এয়ারপোর্টে দুপুর সোয়া ১টায় বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।
দিল্লি পৌঁছানোর পর আজই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছিল— হায়দ্রাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে মোদি আলাপচারিতা করবেন নিজের বাসভবন, ৭ লোককল্যাণ মার্গে।
আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন বলেও লেখা হয়েছিল প্রতিবেদনে।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে জি২০ দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশ ওই গোষ্ঠীর সদস্য নয়। কিন্তু ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনটি সমঝোতা স্মারক হলো— কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সহজীকরণ।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার পর, ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’-এর অধীনে দুটি ভাষণ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি- ২০ নয়া দিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হবে।
১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
এমএসআই/এনএফ